ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের ভিন্নতা ও আকারভেদে কেজিতে ১০-৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে দাম। অন্যদিকে বাড়তি রয়েছে সবজি ও মুরগির বাজার।
শুক্রবার (১৯ জুন) সকালে বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি আকারভেদে পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫৫ টাকা, ঝিঙা-চিচিঙা-ধন্দুল ৪০-৬০, কাকরোল ৬০-৭০, করলা ও উস্তি ৬০-৭০, কচুর ছড়া ৫০-৬০, পেঁপে ৪০-৬০, ঢেড়স ৪০-৫০, কচুর লতি ৫০-৬০, বেগুন ৪০-৮০, কাঁচা মরিচ ৫০-৬০, মিষ্টি কুমড়া ৩০, আলু ৩০ টাকা কেজিদরে।
দাম অপরিবর্তিত রয়েছে কলা, বড় কচু, লেবু, পুদিনা পাতা, লাউ, জালি কুমড়ার দাম। বাজারে প্রতি আটি (মোড়া) কচুর শাক বিক্রি হচ্ছে ১০-১২ টাকা, লাল শাক ১২-১৫, মূলা ১২-১৫, পালং শাক ১৫, লাউ ও কুমড়া শাক ৩০-৪০ টাকা, পুঁইশাক ১৫-২০ টাকায়।
দাম কমেছে মাছের বাজারে: কেজিতে ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত দাম কমে বর্তমানে প্রতিকেজি কাঁচকি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকা কেজিদরে, মলা ৩৮০-৪০০ টাকা, ছোট পুঁটি (তাজা) ৫০-৫৫০ টাকা, ছোট পুঁটি ২৮০-৩৫০ টাকা, টেংরা মাছ (তাজা) প্রতিকেজি ৬৫০-৭৫০ টাকা, দেশি টেংরা ৪৫০-৫৫০ টাকা কেজিদরে।
কেজিতে ১০-৩০ টাকা বেড়ে দাম কমে প্রতিকেজি শিং (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৫০০ টাকা, পাবদা ৩০০-৫০০ টাকা, চিংড়ি (গলদা) ৪০০-৬৫০ টাকা, বাগদা ৫০০-৯৫০ টাকা, হরিণা ৩৫০-৫০০ টাকা, দেশি চিংড়ি ৩০০-৫০০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ২৫০-৩৫০ টাকা, মৃগেল ১৮০-৩০০ টাকা, পাঙাস ১৩০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০-১৮০ টাকা, কৈ ১৬০-১৮০ টাকা, কাতলা ২০০-৩২০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে অপরিবর্তিত আছে ইলিশের বাজার। বর্তমানে এসব বাজারে প্রতি এককেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১০৫০ টাকা, ৭৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৭৫০-৮০০, ছোট ইলিশ আকারভেদে ৩৮০-৪৫০ টাকা কেজি দরে। এসব বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০, প্রতিকেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০, প্রতিকেজি আদা বিক্রি হচ্ছে (মানভেদে) ১৪০-১৫০ টাকা কেজিদরে।
অন্যদিকে, অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০-৬০০ টাকা, মহিষের মাংস ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ টাকা, বকরি ৭৫০ টাকা কেজিদরে। তবে, গরু-খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে মুরগির বাজার। বয়লার মুরগির কেজি ১৬০- ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৩০ টাকা। পাকিস্তানি কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৬০ টাকা কেজি। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০-৫০০ টাকা কেজি।
আগামীনিউজ/এমআর